রবিবার, ০৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৮:৪৪ অপরাহ্ন
ভয়েস নিউজ ডেস্ক:
কখনো তীব্র গরমে অসহনীয় অবস্থা আবার মাঝে মাঝে বৃষ্টির পরশে স্বস্তি। এই আবহাওয়ায় শরীর কখনো ঘামে ভেজে, কখনো বা বৃষ্টির পানিতে। ফলে ত্বকে ছত্রাক সংক্রমণ বা ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা যায়।
ফাঙ্গাল ইনফেকশন কী?
ফাঙ্গাল ইনফেকশন একটি সংক্রামক রোগ। আমাদের চারপাশে এমন অনেক রোগজীবাণু ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকে যা আমরা খালি চোখে দেখতে পাই না। এসব রোগজীবাণু আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের সঙ্গে শরীরে প্রবেশ করে এবং শরীরের যে কোনো একটি অংশকে আক্রান্ত করে। দ্রুত এ রোগের চিকিৎসা না নিলে ধীরে ধীরে তার সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। বিশেষ করে বর্ষাকালে ত্বকে ফাঙ্গাল আক্রমণ বেশি হয়। তাই শরীরের ত্বক যে কোনো ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। যাদের ইমিউন সিস্টেম বেশি দুর্বল তারা বেশি ফাঙ্গাল ইনফেকশনে আক্রান্ত হয়।
কারণ
ফাঙ্গাস বা ছত্রাক সাধারণত সবসময় স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে জন্ম নেয়। বর্ষাকালে এ রোগ বেশি হয়। আবার ঘর্মাক্ত শরীরে স্কিন ফাঙ্গাস হতে পারে। তাছাড়াও স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে বসবাস করা, খালি পায়ে নোংরা স্থানে হাঁটাচলা করা ইত্যাদি কারণেও ত্বকে ফাঙ্গাস আক্রমণ করতে পারে। যাদের পা অতিরিক্ত ঘামে তাদের জুতা থেকেও ফাঙ্গাস আক্রমণ করতে পারে। মাথার ত্বকেও ফাঙ্গাল ইনফেকশন হয়।
লক্ষণসমূহ
১. ত্বক ধীরে ধীরে অস্বাভাবিকভাবে লাল হয়ে যায়। ২. ত্বকে প্রচুর চুলকানি, জ্বালা-পোড়া ও অস্বস্তি বোধ
৩. নখ বিবর্ণ রং ধারণ করে ও হঠাৎ ভঙ্গুর হয়ে যায়।
৪. হাত ও পায়ের ত্বকে আক্রান্ত স্থানে প্রচুর চুলকানি বেড়ে যায়, ত্বক খসখসে হয় ও চামড়া উঠে যায়।
৫. আক্রান্ত স্থান থেকে অতিরিক্ত চুলকানির ফলে পানি বের হয়।
চিকিৎসা কী?
ফাঙ্গাল ইনফেকশন থেকে সুস্থতার প্রথম শর্ত হলো নিজের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সবসময় সঠিকভাবে বজায় রাখা। এবং ফাঙ্গাল ইনফেকশন দেখা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। পাশাপাশি বিভিন্ন অ্যান্টিফাঙ্গাল ওষুধ, লোশন, ক্রিম, পেস্ট, শ্যাম্পু এবং পাউডার, নানাভাবে পাওয়া যায়। এগুলো যেখানে হয়েছে সেখানে লাগাতে হয়। যদি শরীরের অনেকখানি জায়গাজুড়ে হয় এবং মাথায় ও নখেও দেখা যায়। তাহলে ওষুধ গায়ে লাগানোর সঙ্গে ওষুধও খেতে হয়। যাদের বেশি চুলকায় তাদের অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ওষুধ খেতে হবে। ফাঙ্গাল ইনফেকশনের চিকিৎসা খুবই ফলপ্রদ। অসুখ সেরে যাওয়ার দুই-চার সপ্তাহ পর্যন্ত ওষুধ লাগাতে হবে নতুবা অসুখটি আবার ফিরে আসার সম্ভাবনা থেকে যায়। আমাদের নিজেদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এই সমস্যা থেকে দূরে রাখতে পারে।
ডা. শেখ মইনুল খোকন, এমবিবিএস, ঢাকা, সিনিয়র মেডিকেল অফিসার, কিডনি ফাউন্ডেশন হাসপাতাল
সূত্র:দেশরূপান্তর।
ভয়েস/জেইউ।